সারা বাংলা

ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়: পুলিশ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় লিটন আহমদ (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক ধর্ষণ এবং মেয়েটিকে হত্যার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ। 

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে নিজ বসতঘরের চৌকাঠের সঙ্গে হাঁটু ভাজ করা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃত লিটন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের বল্লবপুর গ্রামের খলিল আহমেদের ছেলে। নিহত কলেজ ছাত্রী দোয়ারবাজার উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তাদের (নিহত এবং গ্রেপ্তারকৃত) দুই জনের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ছিল। ঘটনার রাতে ঘরে ঢুকে প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিটন। নিহতের লাশ ঘরের চৌকাঠে (বাঁশ) ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান লিটন। মরদেহের হাঁটু ভাঁজ অবস্থায় মাটির সঙ্গে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আজ সকালে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। 

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিল না মেয়েটির গ্রামে। তখন বাড়িতে একাই ছিলেন মেয়েটি। এই সুযোগে লিটন বাড়িতে ঢুকে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেয়েটির ছোট ভাই বাড়িতে এসে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করেন। ঘরের ভেতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে টিনের বেড়া ছিদ্র করেন তিনি। তখন ঘরের ভেতরে বোনের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন নিহতের ভাই। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ওই রাতেই থানায় মামলা করেন।