মাদারীপুরে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুর রহমান আসিব খানের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় তাদের কোপানো হয়। আহতরা হলেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের চৌহদ্দি গ্রামের আমরী সরকারের ছেলে মানিক সরকার (৪১) ও তার সহযোগী সুকদেব সরকার (৪২)।
ভুক্তভোগীরা জানান, মাদারীপুর শহর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিব খানের নির্বাচনী পোস্টার নিয়ে মানিক সরকার ও সুকদেব সরকার ইজিবাইকে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে তালতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক দত্ত কেন্দুয়া গ্রামের স্বপন হাওলাদার (৩৮) ইজিবাইকের গতিরোধ করেন। এ সময় মানিক ও সুকদেব কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন স্বপন ও তার লোকজন। পরে আত্মরক্ষার্থে দোকানের ভেতর আশ্রয় নেয় মানিক ও সুকদেব। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের উদ্ধার করেন। পরে দুই জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, অভিযুক্ত স্বপন হাওলাদার ঘটনার পর পলাতক ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
আহত মানিক সরকার বলেন, ‘নাদিম বৈদ্যের নির্দেশে অতর্কিতভাবে স্বপন হাওলাদার লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। প্রাণের ভয়ে দোকানে আশ্রয় নিলে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
তবে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে নাদিম বৈদ্য বলেন, ‘আমি এ ঘটনা জানি না। কারা কেন হামলা করেছে তাও বলতে পারব না।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে আহত দুই জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী মানিক সরকার। এরইমধ্যে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করছে।