আন্তর্জাতিক

বিদেশে কাজে যেতে মিয়ানমারের পুরুষদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

তরুণ ও যুবকদের বিদেশে কাজে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। নাগরিকদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে গত ফেব্রুয়ারিতে আইন জারির পর বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জান্তা সরকার জানিয়েছে, যাদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক তাদের বিদেশে কাজে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনপত্র গ্রহণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এশিয়ার অন্যান্য দেশে মিয়ানমারের অনেক নাগরিক শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী জোটের কাছে হেরে গিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ পরিস্থিতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সের নারীদের অন্তত দুই বছর সেনাপ্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে ফেব্রুয়ারিতে একটি আইন জারি করে জান্তা সরকার। সরকারের এ ঘোষণার পর তরুণদের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। 

বিবিসি জানিয়েছে, সেনা প্রশিক্ষণ নিয়ে আইন জারির পর মিয়ানমারের প্রায় এক লাখ পুরুষ বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।

জাপানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, সরকারের এ ঘোষণায়ি তিনি বিপর্যস্ত। 

তিনি বিবিসি বার্মিজকে বলেছেন, ‘সবাই) ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা হারিয়ে ফেলেছে। দেশে চাকরির সুযোগ নেই এবং এখন তারা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে। আমাদের কি কিছু করার অনুমতি নেই?’

রাজধানী নেপিদোর লুই শহরতলির ২৮ বছর বয়সী কো ফিও বিবিসি বার্মিজকে বলেন, ‘সামরিক পরিষদের নির্দেশে দেশের তরুণদের কোনো কাজের সম্ভাবনা নেই।’