সারা বাংলা

ভূমধ্যমাগরে নিহতদের মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায় স্বজনরা

‘অবৈধভাবে’ ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ার ভূমধ্যমাগরে নৌকাডুবিতে নিহত আট জনের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০মিনিটের দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তাদের মরদেহ। লাশ নিতে বিমানবন্দরে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। পরে মরদেহগুলো পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল পর্যন্ত স্বজনরা মরদেহগুলো পাননি।

ভূমধ্যমাগরে মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরে। অপর তিন জন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। 

আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকায় 

নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈরের কোদালিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান কাজীর ছেলে সজীব কাজী, পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ, সেনদিয়ার গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগী, উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, কেশরদিয়া গ্রামের কাওসার।গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন।

স্বজনরা জানান, মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের গজারিয়া গ্রামের রহিম শেখ ও সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশারফ কাজী প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয় ১০-১৫ লাখ টাকা নেন। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালি পাঠালে ঘটে দুর্ঘটনা।

নিহত সজীবের বাবা মিজানুর রহমান কাজী বলেন, ছেলে মারা গেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এখন মে মাস চলছে। মরদেহ দেশে আসলো দেরি করে, তারপরও ভোগান্তি। কখন আমার ছেলের মুখটা দেখতে পাবো। সবাই লাশের অপেক্ষা করছে।

মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, তিউনিসিয় দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত সহযোগিতা চাইলে করা হবে। এরইমধ্যে সরকারিভাবে মরদেহগুলো দেশে আনা হয়েছে।