সারা বাংলা

কুষ্টিয়া হাসপাতালে টিনের ছাউনির নিচে মেঝেতে রোগী, নেই ফ্যান

কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। দাবদাহে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৫টি বেড থাকলেও ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় গরমে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। চিকিৎসা নিতে এসে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। জায়গা সংকটে বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। এতে তীব্র গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

শনিবার (৪ মে) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়। হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডেও একইচিত্র। 

সেখানে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় তীব্র গরমে রোগীদের বেহালদশা। সিলিং ফ্যান না থাকায় রোগীদের অনেকে হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কাউ আবার বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে ব্যবহার করছে।

সাদিয়া নামে এক রোগীর মা বলেন, ‘মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের সামনে টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। সরাসরি রোদ মেয়ের মুখের ওপর পড়ে। আমাদের মতো ৩০ জন রোগী এভাবে কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সিলিং ফ্যান না থাকায় অসহনীয় গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ 

আরেক শিশু রোগীর মা কনিকা খাতুন বলেন, ‘অসহনীয় তীব্র গরমে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই আমরা যাতায়াতের পথে পাটি পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। টিনের ছাউনি থাকায় খুব গরম লাগে, অনেক কষ্ট হয়। হাসপাতালে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না। এগুলো কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না।’ 

একই কথা বলেন অন্যান্য রোগী এবং তাদের স্বজনরা। হাসপাতালটির সেবার মান নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের। 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি। পর্যাপ্ত বেড নেই, ফ্যানেরও সংকট রয়েছে। এখন ফ্যান লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে ফ্যানের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’