খেলাধুলা

অচেনা ক্যাম্পবেল আর বেনেটের ঝড়ে ১৩৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো জিম্বাবুয়ে

প্রথম ১০ ওভারে রান চল্লিশের কম। ১১তম ওভার শুরু না হতে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। তাতে অবশ্যই ভালোই হয়েছে জিম্বাবুয়ের জন্য। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকা দলটি এরপরই যে ফেরে টি-টোয়েন্টি মেজাজে। 

রূপকার অভিষিক্ত জনাথান ক্যাম্পবেল ও বেনেট। দুজনে মাত্র ৪৩ বলে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ৭৩ রান! অভিষেকেই মারকুটে ব্যাটিংয়ে নজরকাড়া ক্যাম্পবেলের আউটে ভাঙে জুটি। ক্যাম্পবেল ফিরলেও বেনেট থামেননি, শেষ ওভারে ১৮ রান নিয়ে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।  

রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। ২৯ বলে ৪৪ রান করে বেনেট অপরাজিত থাকেন। ৩টি ছয় ও ২টি চারের মারে ইনিংসটি সাজানো ছিল তার। 

ক্যাম্পবেলের ব্যাট মাত্র ২৪ বলে আসে ৪৫ রান।৩টি ছয় আর ৪টি চারের মারে সাজানাও ছিল ইনিংস। আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। 

জিম্বাবুয়ে ইনিংসটি বেনেট-ক্যাম্পবেলময়। ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরেন দুজনে। ৪২ রানে দলটি হারায় ৫ উইকেট। ততক্ষণে জিম্বাবুয়ের খরচ করে ১০.২ ওভার। বাকি ৫৮ বলে দলটি নেয় ৯৬ রান। 

বেনেট-ক্যাম্পবেল ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পেরেছেন মাত্র দুজন। তাও ওপেনার জয়র্লড গাম্বি ১৭ রান করতে ৩০ বল হজম করেন। আরভিন ১৬ বলে করেন ১৩। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। শূন্য রানে ফেরেন মান্দান্ডে। 

শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করলেও শেষ দিকে এলোমেলো ছিলেন সাইফউদ্দিনরা। ছয়ের নিচে ইকোনমিতে বল করেন তাসকিন-মেহেদি। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন-রিশাদ। সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ৩৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।