খেলাধুলা

রাজার ৮ উইকেটের তোপে ৭১ রানে অলআউট সাকিবরা

মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট। পড়তে অবিশ্বাস্য লাগলেও প্রাইম ব্যাংকের পেসার রেজাউর রহমান রাজা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে এসে এমন অবিশ্বাস্য বোলিং উপহার দিলেন। তাও সাকিব আল হাসানদের দল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে।

রাজার বোলিং তোপে মাত্র ৭১ রানে অল আউট শেখ জামাল। ফতুল্লায় আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজার বিধ্বংসী বোলিংয়ে শেখ জামাল ম্যাচ হেরে যায় ১৯৯ রানে।

২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন রাজা। এর আগে পেসার ইয়াসির আরাফাত মিশু গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ২০১৮ সালে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।

শেখ জামালের প্রথম দুই উইকেট নেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় বোলার হিসেবে রাজা বোলিংয়ে আসেন। দশম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই পেয়ে যান উইকেটের স্বাদ। আউট করেন ফজলে মাহমুদ রাব্বীকে্। ওই ওভারের শেষ বলে রাজার শিকার হন সাকিব। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দেন শূন্য রান করা সাকিব।

পরের ওভারে ফিরে রাজা প্রথম বলেই তুলে নেন কাজী নুরুল হাসান সোহানের উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তাইবুর রহমান তার বল ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু এক বল পরই তার শিকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারে রিপন মণ্ডলের উইকেট নিয়ে রাজা পেয়ে যান ফাইফারের স্বাদ।

শুরু ৩ ওভারেই ৫ উইকেট পেয়ে উড়ছিলেন ডানহাতি পেসার। এরপর পরের ৩ ওভারে তার পকেটে আরো ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৬.৩ ওভারে দ্রুত গতির বোলার পেয়ে যান ৮ উইকেট। তার বোলিংয়ের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ইয়াসির আলী চৌধুরী সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন। এছাড়া ১২ রান আসে সৈকত আলীর ব্যাট থেকে। বাকিরা সবাই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটে।

এর আগে শেখ জামালের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংক বড় সংগ্রহ পায় মুশফিক ও জাকির হাসানের ব্যাটে। জাকির ৯৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮৫ রান করেন। মুশফিক ৯৪ বলে করেন ৭৮ রান। এছাড়া তামিম  ও হাসান মাহমুদ ২২ এবং নাজমুল অপু ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শেখ জামালের হয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিকুল, সাকিব, আরিফ ও তাইবুর। সাকিব ২ উইকেট নিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রাজ্জাক ও মাশরাফির পর ৪০০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন। তবে তার অর্জন ম্লান হয়ে যায় রাজার তোপে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এ পেসারই।