প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিককে মারধর করা হয়।
বুধবার (৮ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক গোলজার হোসেন মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি। তিনি মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল হকের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু তার লোকজন নিয়ে জড়ো হচ্ছিলেন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. সোহেল সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হালা চালান মিঠু ও তার লোকজন। পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক। পরে ওই পুলিশকে রেখে ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সাংবাদিককে মারধর করতে থাকেন মিঠু ও তার লোকজন। পরে অন্য সাংবাদিকরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে গোলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশে পুলিশকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মারধর করছিলেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু ও তার লোকজন। আমি ছবি তুলতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে আহত করে আমাকে। ওই কেন্দ্রের ভেতরে থাকা কয়েকজন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এ ঘটনায় আরেক ভুক্তভোগী সাংবাদিক শেখ রতন বলেন, আমরা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশদের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনেক জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, কেন্দ্রের পাশে একটি দোকান ছিলো। সেখানে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা জড়ো হচ্ছিলেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আমি তাদেরকে সরে যেতে বলি। সে সময় আনারসের সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক ছবি তুলায় তাকেও মারধর করে।
এ বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল হকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রতন বৈরাগী বলেন, এখানে কিছুই হয়নি। সব ঠিক আছে। এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারবো না।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হামলায় আহত সাংবাদিক গোলজার হোসেন গজারিয়া থানায় দুপুরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।