সারা বাংলা

বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ের আত্মহত্যা

নোয়াখালীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। বুধবার (৫ জুন) নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

মৃতরা হলেন- নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (২০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীতে একটি কলেজে পড়তেন। পড়ালেখা অবস্থায় সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে সে। বিষয়টি জানতে পেরে তিশাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহরের বাড়িতে নিয়ে আসেন নরেশ। আনার পর থেকে মেয়েকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। এক পর্যায়ে স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু তিশা স্বামীর পক্ষে অনড় ছিলেন। 

পরে বুধবার তিশার ছোট ভাই প্রয়োজনে বাবার রুমে গেলে দেখে নিথর দেহ পড়ে আছে। আশে পাশে রক্ত। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসেন। ছোট ভাইয়ের চিৎকার শুনে তিশাও আসে। বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় তিশা। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনীতে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি বাবা ভালোভাবে নেননি। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়েও আত্মহত্যা করে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।