রাইজিংবিডি স্পেশাল

সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নে অপার সম্ভাবনার পথে ভোলা

এক সময়ের অবহেলিত আর পিছিয়ে পড়া ভোলা জেলা সময়ের পরিক্রমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে অভ্যন্তরীণ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ আর পর্যটনের অপার সম্ভাবনা নিয়ে। ইলিশ, সুপারি আর ধানে এক সময়ের সুখ্যাতি ছাপিয়ে ভোলা এখন বহুধা উন্নয়নের রূপকথা।

আওয়ামী লীগ সরকারের টাকা তিন মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে দ্বীপ জেলাটি এখন পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি যেমন শক্তিশালা হয়েছে, তেমনি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা; এতে বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রাও।

৭টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা, ৭০টি ইউনিয়ন, ১০টি থানা নিয়ে ভোলার বিস্তৃতি ৩ হাজার ৪০৩.৪৮ বর্গকিলোমিটার।

সরেজমিনে ঘুরে এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর এক প্রকার অবহেলিতই ছিল এই জেলা। বিশেষ করে সড়ক পথে অন্য জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আরো বেশি পিছিয়ে পড়তে থাকে জেলাটি। ’৯৬-তে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলার উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও পরবর্তী বিএনপি সরকারের সময়ে আবারও স্থবির হয়ে পড়ে জেলার উন্নয়ন কাজ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত একযুগেরও বেশি সময়ে ভোলা এখন দেশের অগ্রসরমান জেলার একটি। 

বিশেষ করে জেলার চরফ্যাশন উপজেলা ভোলাকে অন্য এক পরিচিতি এনে দিয়েছে। ভোলা-১ (সদর) আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের এলাকায় উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। 

জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিনে ঘুরলে বর্তমান সরকারের অসংখ্য জনবান্ধবমুখী উন্নয়ন পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। গ্যাসভিত্তিক ভোলায় বিভিন্ন শিল্পকলকারখানা স্থাপন হয়েছে। দ্বীপবাসীকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ৫২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৭টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। ভোলার প্রাকৃতিক সম্পদককে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা।

ভোলো সদর, চর‌ফ্যাশন, লালমোহন ও তজুমদ্দিন ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া শহর থেকে পৌঁছে গেছে গ্রামাঞ্চলে। প্রত্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম এলাকায়ও এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা কখনো চিন্তা করেননি, এসব এলাকায় তারা বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া চরফ্যাশন এলাকার চর কুকরি মুকরিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেঘনা আর সাগরের মোহনায় গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পট, ইকো পার্ক। যা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে ভোলার ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন চারটি সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বদলে গেছে ভোলার যোগযোগ ব্যবস্থা। এ সকল সেতু স্থানীয় মানুষের জীবন মান উন্নয়নেও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতখান উপজেলার বক্সেআলী সেতু, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাইপাস সেতু, লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর সেতু ও চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ সেতু। এ চারটি সেতুর মধ্যে তিনটি সেতুই ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের আওতাধীন।  সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নকৃত এ চারটি সেতুর মধ্যে তিনটিই ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থিত। এর আগে এ স্থানে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ ছিল। যা দিয়ে ভাড়ী যানবাহন চলাচলের সময় অনেক ভোগান্তীতে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এ তিনটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভোলা জেলার একমাত্র মহাসড়কটি দিয়ে যানচলাচলসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও লড়ি চলাচলেও ভোগান্তী কমেছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক সহজ হয়েছে। 

এ ছাড়াও দ্বীপের ২০ লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল সেতু এখন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই সেতু নির্মাণ হলে শুধু ভোলাবাসীই নয়, দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতিতে বিশাল এক বিপ্লব ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া ভোলায় একের পর এক জ্বালানি গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ভোলার ইলিশা-১ নামে নতুন একটি কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাপেক্স। এই গ্যাসে আরো এগিয়ে যাবে ভোলা এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

ভোলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক খালেদ মোল্লা জানালেন, গত একযুগে তিনি ভোলার যে উন্নয়ন দেখেছেন, তা আগে কখনো হয়নি। খেয়ে পড়ে এখানকার মানুষ আগের তুলনায় অনেক ভালো আছে। দারিদ্র্য অনেক কমে গেছে। এজন্য তার এলাকার জনপ্রতিনিধি ভোলা-৪ আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।  

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্বীপ জেলা হওয়ায় এখানে প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অনেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ভোলা সদরের ইলিশা জংশন এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে যখন হাজার হাজার বসতঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা, বাজার বিলীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল, ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ইলিশা বাজারসহ বহু সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা পায়।

চারদিন সরেজমিনে ভোলা ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, জেলা শহরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, পৌরভবনসহ সরকারী অসংখ্য বহুতল ভবন, ভোলা খেয়াঘাটে আধুনিক টার্মিনাল, নদী বন্দর স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়নে পাল্টে গেছে ভোলার চিত্র। তবে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। ময়লার স্তূপ, সর্বত্র দুর্গন্ধ, অন্ধকারপূরী, জীর্ণ সড়ক আর অলিগলি; এসব নিয়ে ছিল তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা চরফ্যাশনে দিনলিপি। চরফ্যাশন পৌরসভার কষ্টের দিনগুলো এখন অতীত হয়েছে, পৌরসভা এবং পৌর নাগরিকদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সালে চরফ্যাশন পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে।

এ ছাড়াও চরফ্যাশন পৌর শহরে নির্মিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম ও আধুনিক বাস টর্মিনাল। ফ্যাশন স্কয়ারসংলগ্ন শহীদ মিনার ও চরফ্যাশন টি.বি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে চরফ্যাশনে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ট আধুনিক রেস্ট হাউজ। চরফ্যাশন বাজার ও পৌর এলাকার সড়ক প্রশস্তকরণ, ড্রেন নির্মাণ এবং চরফ্যাশন বাজারে একাধিক টলশেড ও মার্কেট নির্মাণের মধ্যে দিয়ে আধুনিক শহরের পরিণত এখন চরফ্যাশন পৌরসভা।

ভোলা ৪-এর সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় ভোলা জেলা সদর থেকে চরফ্যাশন হয়ে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ১২০ কি.মি সড়ক ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর লেনে উন্নীত এবং সড়ক ও জনপদের আওতায় বেতুয়া লঞ্চঘাট টু চরফ্যাশন বাজার মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরফ্যাশনবাসীর পঞ্চাশ বছরের দাবি ছিল চরফ্যাশন-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ যাতায়াত। কিন্তু দীর্ঘ সময় কোকো লঞ্চ ও ভোলা জেলা সদরের লঞ্চ মালিকদের এক চেটিয়া লঞ্চ ব্যবসা ধরে রাখাতে চরফ্যাশন-ঢাকা লঞ্চ রুট অনুমোদন দেয়া হয়নি। ২০০৯ সালে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব চরফ্যাশন থেকে সরাসরি ঢাকা নৌরুট অনুমোদন করে স্বল্প খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ঢাকা-লেতরা, ঢাকা-ঘোষেরহাট এবং ঢাকা-বেতুয়া নৌরুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করেন। চরফ্যাশনবাসীর ৫০ বছরের প্রতিক্ষার অবসান হয়, উন্মোচন হয় যাতায়াতের নতুন দিগন্তের।

এ ছাড়া এখানে দেড় মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ইঞ্জিন চালিত বিদ্যুৎ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। স্টেশন থেকে মনপুরা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১৬ সালে ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৭ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই প্ল্যান্ট থেকে ৩১টি ছোট কারখানা সহ ৬৬১টি পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এ ছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় ৯৫ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধাসহ বিচ্ছিন্ন দুটি দ্বীপ ইউনিয়ন কুকরী মুকরী ও মুজিব নগরকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের আওতায় ৪ হাজার কি.মি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। চরফ্যাশন, শশীভূষণ, দুলারহাট ও দক্ষিণ আইচা থানার কচ্ছপিয়ায় ৫ মেঘাওয়াট ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি নতুন সাব ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। 

চরফ্যাশন ও মনপুরার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সৌর বিদ্যুতের আওতায় এনে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈদ্যুতিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নাগরিক চিকিৎসা সেবায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এখানে। নিমির্ত হয়েছে স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আধুনিক হাসপাতাল। চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতসহ স্বাস্থ্য সেবায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ভোলা ৪ আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘১৬ বছর আগে ভোলা জেলা ছিলো একটি সন্ত্রাস, অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন আর জুলুমের দেশ। তখনকার সরকার উন্নয়নের পরিবর্তে বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করাই তাদের নীতি ও কাজ মনে করতো। উন্নয়ন যে তাদের একটি দায়িত্ব, তারা সেটি মনে করেনি। আমার নামে ২৭টি মামলা দেয়া হয়। আমি ৭বার কারাবরণ করি। হাজার হাজার নেতাকর্মীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর লুট, সন্ত্রাস, খুনসহ এমন কোনো অত্যাচার নেই তারা করেনি। আড়াই বছর আমি আমার পৈত্রিক বাড়িতে আসতে পারি নাই। পিতার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করতে দেয়নি।’

‘আমি নির্বাচতি হওয়ার পর তাদের অত্যাচার-নির্যাতন ভুলে গিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ একপাশে রেখে রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী ফুল নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে গিয়েছি। সেই দিন থেকে নিজেকে সপে দিয়েছি এখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন করা জন্য। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সহযোগিতায় মডেল উপজেলা হিসেবে চরফ্যাশনকে রূপান্তর করতে পেরেছি। বিশ্বাস করি, আগামীতে বিশ্বের যে কোনো একটি উন্নত দেশের এলাকার সাথে চরফ্যাশনকে তুলনা করতে পারবো।’ যোগ করেন এই সংসদ সদস্য।