সারা বাংলা

ত্রিমুখি সংঘর্ষে বেরোবি রণক্ষেত্র, শিক্ষার্থী নিহত

পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আবু সাঈদ নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। 

এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় তিন সংবাদ কর্মীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আহদের মধ্যে চার শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করতে থাকে। আন্দোলনকারীরাও পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে থাকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৫টা) পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্রলীগকে কোনঠাসা করে ক্যাম্পাসের সবকটি গেট দখলে নিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বহিরাগত টোকাইদের এনে গতকাল রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আজ তারা বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন গেটে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশকে মেধাশূন্য করার পাঁয়তারা করছে।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। অনেক পুলিশ সদস্য এতে আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছে বলে শুনেছি তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা বলতে পারছি না।’