সারা বাংলা

কুমিল্লায় ৮ মামলায় ৮ হাজার আসামি, গ্রেপ্তার ১৬০

কুমিল্লায় পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ ৬টি ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ২টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় ৮ হাজার আসামি করা হয়েছে। আসামিদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।   এদিকে গত এক সপ্তাহে জেলাজুড়ে চিরুনি অভিযান চালিয়ে ১৬০ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিদের  বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিএনপির অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে পুরোনো একাধিক নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া জামায়াতেরও বেশ কয়েকজন জেলা পর্যায়ের নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।   বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ কাউসার ও শহীদ উল্লাহ রতন, কুমিল্লা জেলা আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান বিপ্লবসহ আরো অনেকেই রয়েছেন। কুমিল্লা নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মাসুম বিল্লাহ, ৮ নং ওয়ার্ডের জামায়াতের আমীর ইকরামুল ইসলামসহ আর কয়েকজন জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আলম রায়হান জানান, সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আমরা গত ১৯ জুলাই শান্তিপূর্ণ মিছিল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায় ও আমাদেরকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় তারা বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করে। এসময় ইউসুফ মোল্লাহ টিপুসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ১০ জন। আরও ২০ জন আহত হয়। কিন্তু যারা হামলা চালিয়েছে তারাই উলটো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। 

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্ল্যাহ খোকন বলেন, তাদের (বিএনপি) অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঐ দিন আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে বিএনপি- জামায়াত, আমরা মামলা দিয়েছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। সকল নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।