ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহরানে নিজের আবাসস্থলে ‘বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে’ নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে হানিয়াকে শেষবার দেখা যায়। তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হামাস নেতাকে বলেছিলেন, ইরান ‘ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াবে।’ হানিয়া ইরানকে তাদের ‘সম্মানজনক অবস্থানের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর হানিয়া এবং হামাসের অন্যান্য নেতাদের হত্যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েল।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি হামাসের ওই হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিল, হামাস কয়েক বছরের ইরানি প্রশিক্ষণ ছাড়া এ ধরনের অপারেশন পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করতে সক্ষম হতো না।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আজ (বুধবার) ভোরে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে হামলা চালানো হয়, যার ফলে তিনি এবং তার একজন দেহরক্ষী শহিদ হন। হামলার কারণটি তদন্তাধীন এবং শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’