৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস। আদুরে স্বভাবের এই প্রাণী সহজেই মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। বিশ্বে বিড়াল দিবস উদযাপন দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আজ জানিয়ে দিচ্ছি এমন একটি বিড়ালের গল্প যে বিড়াল নিজেই নিপীড়িত অথচ নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে নিপীড়িত নারীদের সেবায়।বিড়ালটি ১১জন নিপীড়িত নারীর বন্ধু হয়ে উঠেছে এবং তাদের জীবন উপভোগ্য করে তুলেছে। বিড়ালটির নাম মার্লি। লন্ডনের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকে এটি।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের ক্যারিতাস বাখিতা হাউস নামের ওই আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্সতিস। তার আশ্রয়কেন্দ্রে ২২ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১১জন নারী রয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন সম্পর্কে অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই ১১জন নারীকে দেখভাল করার দায়িত্ব যেমন অ্যান্সতিসের তেমনি বিড়াল মার্লিরও।
চার বছর ধরে বিড়ালটি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। দেখতে সাদাকালো। ৩০ বছরের যুবকদের দেখলে ভয় পায় বিড়ালটি। মালিকের ধারণা, এই বিড়াল কখনো না কখনো ৩০ বছরের কোনো যুবক দ্বারা নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
মার্লি নিপীড়িত মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারে। তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখায়— এ তার এক অবিশ্বাস্য ক্ষমতা।
আদুরে ভঙ্গিতে নিপীড়নের শিকার নারীর পায়ে নিজের একটা পা রাখে মার্লি।
মার্লির মালিকের ভাষ্য, মানুষ যেমন মানুষের কাঁধে স্নেহময় হাত রাখে, স্পর্শ দেয় মার্লিও তাই। তার স্নেহ ও ভালোবাসায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা নারীরা ধীরে ধীরে সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন।
মার্লিকেও ভালোবাসেন ওই নারীরা। বলতে গেলে ভালোবেসে ভালোবাসা আদায় করে নেয় সে।