সারা বাংলা

বিএনপি ভাঙচুর-লুটপাট প্রশ্রয় দেবে না: মিনু

বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি ভাঙচুর, লুটপাট কিংবা জমি দখলের মতো কর্মকাণ্ড করেন, তাহলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। শনিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় থাকা নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মিনু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে যারা দখলদারিত্ব করেছেন, তাদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। এতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোথাও কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে তারা সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ কমিশনার কার্যালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বিএনপির কেন্দ্র বরাবর দরখাস্ত দিয়ে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। এগুলো দল প্রশ্রয় দেয় না।

রাজশাহীর ব্রিটিশ কাউন্সিল দখলের প্রসঙ্গ টেনে রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘প্রায় ১৫০ বছরের পুরাতন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। তবে এ প্রতিষ্ঠান আমরা ধ্বংস করতে দেবো না। জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব। কোনো অপশক্তিকে এটা দখল করতে দেওয়া হবে না।’ দ্রুতই যেন সংস্কার করে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়, সেই দাবি করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে মিনু বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। কারণ তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তাকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, শিগগিরই তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। দেশবাসী তার অপেক্ষায় রয়েছেন। আর শুধু তাই নয়, পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরতে হবে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্ব আদালতে তার বিচার করা হবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মদদে নগর ভবনে সন্ত্রাসীদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থার কারা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতা মিনু। আর এ কারণে নগর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন প্রশ্নে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১ হাজার ১০০ নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় আটক হয়েছেন। এছাড়া চারজন মারা গেছেন। আর আহত হয়েছেন অগণিত। প্রচুর নেতাকর্মী পঙ্গুও হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ফান্ড থেকে প্রতি বছর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন।’ 

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম হোসেনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।