আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ফের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ মোবিন রাতুলকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগে চকবাজার থানার মামলায় সৈকতের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। হত্যাচেষ্টা মামলায় সৈকতের আরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
তাদের রাত ৮ টার দিক আদালতে নিয়ে আসা হয়। সিএমএম আদালতের হাজতখানায় তাদের রাখা হয়। ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে এজলাসে তোলা হয়। আদালতে ওঠানোর সময় সবচেয়ে আতঙ্কিত ছিলেন পলক। তিনি ভয়ে মাথা নিচু করে রেখেছিলেন। আসামিদের জন্য রাখা ডকে তাদের রাখা হয়। এসময় পলক সবার পিছনে থেকে দেয়ালের ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনো দিকে তাকাননি। শুনানিকালে প্রায় ৪০ মিনিট দেয়াল ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। নিজেকে অনেকটা লুকিয়েই রাখেন। কিছুক্ষণ পর পর তাকে চোখ মুছতে দেখা যায়।