স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার-মানোন্নয়নে ১২ সদস্যের কমিটি

দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফয়েজকে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজকে সভাপতি ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য করা হয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রফেসর ডা. ফিরোজ কাদেরকে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর ডা. শাকিল আহমদ, ইনজুরি প্রতিরোধ ও গবেষণা সেন্টারের সিইও প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এমএ জলিল চৌধুরী, এমএইচ সমরিতা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কার্যপরিধি:

(১) দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ।

(২) সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।

(৩) নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর।

(৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান।

(৫) দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।