দেশের মাটিতে এবং বাইরে কুকাবুরা বলে নিয়মিত ম্যাচ খেলে আসছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও বাংলাদেশ খেলেছে কুকাবুরা বলে। ১৫ দিনের মাথায় ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে দুই দলের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই এসজি বলে খেলতে হবে।
নিজেদের প্রস্তুতকৃত এসজি বলেই ভারত সব হোম সিরিজ খেলছে। তাই বাংলাদেশকেও সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। বলের এই পরিবর্তনকেই টেস্টে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে। মঙ্গলবার অনুশীলনের আগে লিটন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘আমাদের বলটাও পরিবর্তন হচ্ছে। এই বলে আমরা খুব কমই খেলি। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমাদের খেলোয়াড়রাও খুব পরিশ্রম করছে।’
পাকিস্তান থেকে ফেরার পর তিন সেশন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। অনেক আগে কেনা এসজি বলেই অনুশীলন করছে পুরো দল।
ক্রিকেটে সাধারণত তিনটি বল ব্যবহৃত হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে ব্যবহৃত হয় ডিউক বল। ভারতকে এসজি বল। বাকি সবাই কুকাবুরা বলেই খেলে। ডিউক বল ও কুকাবুরা বলের মৌলিক পার্থক্য সিমে। ডিউক বলের সিম বেশি খাড়া ও লম্বা সময় টিকে থাকে। কুকাবুরা বলে সিম উঁচু নয়। বলের সঙ্গে সিম মিশে থাকে।
এছাড়া এসজি বলের সিম কুকাবুরার চেয়ে সামান্য উচুঁ হয়। এটাও খুব সময় টিকে না। এসজি বলের পালিশ এবং কার্যকারিতা কুকাবুরা বা ডিউক বলের চেয়ে আগেই নষ্ট হয়ে যায়। বাতাসে সুইং কিংবা পিচে পড়ে আরও ভালো সুইং করতে পারে। বল যত পুরোনো হতে থাকে, ততই রিভার্স হতে থাকে। ফিল্ডাররা তখন শুধু একদিকেই ঘষতে থাকেন। এতে করে বলের একদিক পুরোনো হয়, অন্যদিক চকচক করতে থাকে। তাই নতুন বলে একবার মানিয়ে নিতে পারলে পরবর্তীতে খুব সহজেই ব্যাটসম্যানরা বড় কিছু করতে পারেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পেসাররা পাকিস্তানে বেশ ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এসজি বলে চ্যালেঞ্জ থাকলেও পেসারদের জন্য তা বাড়তি সুবিধা হবে তা বলাই যায়। তবে আগেভাগেই অনেক কিছু ভাবতে নারাজ লিটন, ‘ভারতে এখনও পৌঁছাই নাই। সেটা ভবিষ্যত, আর যেটা বললেন সেটা অতীত (পাকিস্তানের সাফল্য)। এই দুইটা মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। এখন বর্তমানে আছি।’
পাকিস্তানে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ভারতে কাজে লাগাতে চান লিটন। এজন্য অতীতের সাফল্য ভুলে বর্তমানে থাকার কথা বললেন তিনি, ‘আপনারা পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে যদি বেশি কথা না বলেন তাহলে খুবই ভালো হবে। সামনে যেই সিরিজটা আসছে সেটা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে সেটা অতীত হয়ে গেছে সামনে যাওয়ার জন্য। আপনারা জানেন ভারত বড় একটা দল।’
প্রতিকূলতা আসবে। বাধা হয়ে আসবে আরও অনেক কিছু। সব বাধা পেছনে ফেলেই লিটন গন্তব্যে ছুটতে চান আপন ছন্দে, ‘ভারত সিরিজ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কিছুটা ডিফিকাল্টিস তো আছেই। কারণ, কুকাবুরা বলে নতুন বলটা খেলা কঠিন, পুরাতন বলটা খেলা সহজ। তবে এসজি বলে নতুন বলটা একটু সহজ, পুরাতন বলটা খেলা কঠিন। ব্যক্তিগত লক্ষ্য হলো দলকে যতটুকু দেওয়া যায়। আমার তরফ থেকে আমি সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’