ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সামনে মানববন্ধন করেন ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইবি গুচ্ছ থেকে বের না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। 

মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “গুচ্ছ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হলেও এটি শিক্ষার্থীদের আশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারে না। ইবির কিছু বিভাগ রয়েছে, তারা আলাদা মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছে। তাহলে অন্য বিভাগগুলো কেন বঞ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করুক। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”

মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সেখানে বলা হয়েছে, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বিগত চার বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাসময়ে আসন পূর্ণ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়াসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্রমাগত নিম্নগামী বলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো অদ্যবধি নিরসন হয়নি। এতে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্মুন্নত রাখতে এবং সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ২০২৪-২৫ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে জোর দাবি জানাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদ।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপাচার্য বলেন, “গুচ্ছ একটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, সবাই গুচ্ছে থাকতে সম্মত হয়েছে। তবে আমরা এ দাবিকে সম্মান করি। আমি এ দাবিগুলো কেন্দ্রে পাঠাব। শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের সামনে তুলে ধরব।”