জাতীয়

আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন, বিধি-বিধানের মধ্যে থাকব। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব  কথা বলেন।  

বিএনপি বলেছে, জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্ভব, এ বিষয়ে কমিশনের ভাবনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন-কানুন ও বিধি-বিধানের মধ্যে থাকব। আমরা ফ্রি, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই, যেখানে সব প্লেয়ার অবাধে খেলতে পারে। আমরা এজন্য একটি মাঠ তৈরি করতে চাই। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

সংস্কার আংশিক হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে, আর সংস্কার পুরোদমে হলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির সহায়তা হিসেবে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেন করেন সিইসি।

এ নিয়ে তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। তারা ডিসেম্বরে আমার সঙ্গে দেখা করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এত দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত। ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ক্যামেরা দিয়ে তারা সহায়তা করল, যা আজ শুরু হলো। আশা করি, সামনের জাতীয় নির্বাচনেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে।”

সিইসি বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। তাই আজ কয়েকশ ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ক্যামেরা ইউএনডিপি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও আসবে। পুরো নিবন্ধন কার্যক্রমে তারা আশা করি সহায়তা দেবে। জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড অ্যাসেসমেন্ট টিম আসছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। কাল থেকে মাঠে নামাচ্ছি। আশা করছি, সন্দেহ দূর হবে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করব। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। সাভারে এর উদ্বোধন হবে।”

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান স্টিফেন লিলার সিইসির কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার, চার হাজার ৩০০টি ব্যাগ হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, “এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।” 

এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।