“আমি কখনো রাজনীতি করিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছি। এই আদালতপাড়াতেও সাংবাদিকতা করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নিউজ করে মামলা খেয়েছি। দুই মাস জেল খেটেছি। অথচ, এখন আমাকে শ্রমিক লীগের নেতা বানিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরের সাথে বিরোধ থাকায় আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কেন আমার সাথে এ অবিচার?”
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে এসব কথা বলেছেন গোলাম সারোয়ার পিন্টু নামের এক ব্যক্তি।
গোলাম সারোয়ার পিন্টু রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলার আসামি। মামলায় তাকে বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পিন্টুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক। শুনানিকালে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানি চলাকালে পিন্টু আদালতকে বলেন, “আমি গরিব মানুষ। আমার তিন সন্তান। তাদের দেখার কেউ নেই। এসব মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷ সম্পৃক্ততা থাকলে আপনি যে সাজা দেবেন, মাথা পেতে নেব।” পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণী এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অটোরিকশার চালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। এ সময় আন্দোলন দমনের জন্য ছোঁড়া গুলি হাফিজুলের বাম পাঁজর দিয়ে ঢুকে ডান বগল দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট তার পরিবার বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করে।