খেলাধুলা

বরিশাল ব্যাক ‍টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন

::সংক্ষিপ্ত স্কোর:: চিটাগং কিংস: ১৯৪/৩ (২০ ওভারে) বরিশাল: ১৯৫/৭ (১৯.৩ ওভারে) ফল: বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী

বিপিএলের ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল।

১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫১ বরিশাল: ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলেছে ফরচুন বরিশাল। জিততে ৪০ বলে তাদের এখনও প্রয়োজন ৪৪ রান। কাইল মায়ার্স ৩৬ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ রানে ব্যাট করছেন। তামিম ৫৪, মালান ১, হৃদয় ৩২ ও মুশফিকুর রহিম ১৬ রান করে আউট হয়েছেন।

ঝড়ো ফিফটি করে তামিমের বিদায়, ১ রানেই শেষ মালান: চিটাগং কিংসের ছুড়ে দেওয়া বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে বরিশালও পেয়েছিল উড়ন্ত সূচনা। তারা বিনা উইকেটে পাওয়ার প্লে’তে তোলে ৫৭ রান। পরের ওভারেই আরাফাত সানীকে চার-ছয় মেরে মাত্র ২৪ বলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন বরিশালের অধিনায়ক। অবশ্য এরপর ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরীফুলের বলে আউট হন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান ও ধারাবাহিক পারফরমার ডেভিড মালানকেও ফেরান শরীফুল। মালান আজ ২ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। বরিশালের দলীয় রান তখন ৮.৪ ওভারে ছিল ৭৮।

পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুললো বরিশাল: পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবাল ২১ বলে ৮ চারে ৩৯ ও তাওহীদ হৃদয় ১ চারে করেন ১৪ রান। চিটাগং কিংসও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলেছিল।

বরিশালকে বিশাল টার্গেট ছুঁড়ল চিটাগং: বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালকে বিশাল টার্গেট ছুড়েছে ১২ বছর পর ফাইনাল খেলতে নামা চিটাগং কিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ করেছে তারা। জিততে বরিশালকে করতে হবে ১৯৫ রান।

ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে খাজা নাফি ও পারভেজ হোসেন ইমন ১২১ রান তোলেন ১২.৩ ওভারে। এরপর নাফি মাত্র ৪৪ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান। সেখান থেকে ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক ৭০ রান তোলেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ১৯১ রানের মাথায় ক্লার্ক ফিরেন ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে।

নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী অবশ্য ২ বলে ২ রান করে ১৯৩ রানের মাথায় আউট হন। ইমনকে অবশ্য আউট করা যায়নি। তিনি ৪৯ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে চিটাগংয়ের রান ৩ উইকেটে ১৯৪ পর্যন্ত যায়।

বল হাতে ফরচুন বরিশালের মোহাম্মদ আলী ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১টি ও ইবাদত হোসেন ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।

ইমন-নাফির জোড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেল চিটাগং ​​​​​: টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে চিটাগং কিংস। ১২ ওবারে বিনা উইকেটে তারা তুলেছে ১১৫ রান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ইমন ৩০ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি করেন। এরপর নাফি ৩৭ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ফিফটি। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চিটাগং ৬৬ বলেই ছুঁয়ে ফেলে ১০০ রান।

নাফি-ইমন ঝড়ে ১০ ওভারে চিটাগং ৯৩/০: খাজা নাফি ও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৩ রান তুলেছে চিটাগং কিংস। ওভার প্রতি তারা রান তুলেছে ৯.৩০ করে। ইমন ২৮ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ ও নাফি ৩২ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।

উড়ন্ত সূচনা পেল চিটাগং: ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে চিটাগং কিসং। পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে। পারভেজ হোসেন ইমন ১৫ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করেন। তার সঙ্গে খাজা নাফি ২১ বলে ৪টি চারে করেন ২২ রান। ৩টি রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বরিশাল: দেখতে দেখতে শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ তথা বিপিএল। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ইতোমধ্যে টস হয়েছে। টস জিতেছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি অবশ্য ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টস হেরে ব্যাটিং করবে চিটাগং।

সবশেষ ২০১৩ সালে ফাইনাল খেলেছিল চিটাগং। ১২ বছর পর তারা আবার ফাইনাল খেলতে নেমেছে। এবার তারা শিরোপা জিততে পারে কিনা দেখার বিষয়। অন্যদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালের সামনে চ্যালেঞ্জ শিরোপা ধরে রাখার। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে পারেন কিনা তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা সেটাই দেখার বিষয়।

চট্টগ্রামের একাদশ: মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, খাজা নাফি, হোসাইন তালাত, শামীম হোসেন, গ্রাহাম ক্লার্ক, বিনুরা ফার্নান্দো, আরাফাত সানী, শরীফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও নাঈম ইসলাম।

বরিশালের একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, ডেভিড মালান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবী, রিশাদ হোসেন, এবাদত হোসেন, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী।