জাতীয়

ডিসি সম্মেলনে ‘উত্তম নির্বাচনের’ বার্তা দেবে ইসি

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘‘চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেশের ইতিহাসের উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।’’

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ডিসি সম্মেলনে আমরা দাওয়াত পেয়েছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আমাদের জন্য একটি নির্ধারিত সেশন রয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়, নির্দেশনা থাকে। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমরা যাব। নির্বাচনের পার্ট অ্যান্ড পার্সেল (অপরিহার্য) হলো জেলা প্রশাসন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচনে ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। এবার যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ; এই নির্বাচন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি আমরা। যে কোনো মূল্যে করতে হবে। বার্তাটি আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’

মাঠ প্রশাসন কমিশনের কথা শোনে না, এমন একটি সমালোচনা রয়েছে, এক্ষেত্রে কী করে তাদের কথা শোনানোর নির্দেশনা দেবেন- এমন প্রশ্নে জবাবে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘‘এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই প্রশাসনকে নিয়েই হয়েছে।’’  

তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু সরকারের পক্ষ কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না, সেহেতু আমরা আশাবাদী, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হবে। এতে করে কেউ সাহস পাবে না। কারণ আমাদের সামনে ভালো উদাহরণও রয়েছে, খারাপও রয়েছে। কমিশন বিশ্বাস করে, খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে না। উত্তম নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে হবে।’’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এসেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায়। সেখানে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিও এসেছে। আপনাদের ভাবনা কী-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরো সময় লাগবে আমাদের। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময়ই আমাদের গাইড করবে।’’

ডিসিদের দলীয় মানসিকতার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘নির্বাচনের কাজে সহায়তা করার জন্য সবাই বাধ্য। যখন তফসিল হবে এবং ইসি যখন মনে করবে, যেখানে যে নিরপেক্ষ ডিসিকে পদায়ন করা প্রয়োজন, তখন সেই বিষয়ে কমিশন কঠোরভাবে অটল থাকবে।’’

নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘কমিশন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে আমরা পাইলটিং করতে পারি।’’

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বর্তমান যে আইন, সেটি কিছু পরিবর্তন না হলে যেমন আছে তেমনই থাকবে। আর আইন পরিবর্তন হলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে। আমরা আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এটি জটিল প্রক্রিয়া।’’  

বর্তমান আইনে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘‘সংশোধন হলেই হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুবিধা, উন্নয়ন কর্মের সুবিধা, জনসংখ্যার বিষয়, ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি সব কিছু মিলিয়ে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই; তারপর মানুষের চাহিদার বিষয়টিও দেখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে যথোপযুক্ত মনে হলে সেটিই হবে। কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করা হলেও যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি করা হবে।’’