পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গাছ ফেলে যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেসময় ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত একটার দিকে তলট বাজার থেকে কিছুটা দূরে ছেঁচানিয়া সেতুর কাছে গাছ কেটে সড়কের ওপর ফেলে রাখে ডাকাতরা। তারা প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে। এ ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি সড়কে আটকে পড়ে। ডাকাত দলে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য ছিল বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তারা আরো জানান, ডাকাতেরা হাঁসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে হানা দেয়। অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গাড়ির দরজা খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। এর পাশাপাশি যাত্রীদের মারধর করা হয়। এসময় পরিবহনশ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘণ্টাব্যাপী লুটপাট চালায় ডাকাত দল।
ডাকাতির কবলে পড়া সাঁথিয়ার দৌলতপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাত একটার দিকে বেড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সাঁথিয়ায় যাওয়ার পথে দেখি, ডাকাতেরা গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের অটোরিকশা আটকে গেলে তারা আমার কাছে এসে মারধর করে। টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বিদেশগামী একটি মাইক্রোবাস এলে ডাকাতেরা গাড়িটি থামিয়ে তাদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেয়। ডাকাতদের অস্ত্রের কোপে ওই গাড়ির কয়েকজন আহত হন। আমি সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়িতে ডাকাতি হতে দেখেছি। পরে পুলিশ এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।’’
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। তবে সেখানে যতগুলো গাড়ির ডাকাতির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। সেখানে প্রকৃতপক্ষে তিন থেকে চারটি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। আমরা ডাকাতদের ধরার চেষ্টা করছি।’’