আন্তর্জাতিক

গাজায় পুনরায় হামলা ইসরায়েলের ‘ভুল’ পদক্ষেপ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। 

গাজায় ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু করাকে তিনি ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের দখলকে ‘বেআইনি’ বলেও অভিহিত করেছেন। খবর আনাদোলুর।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল), ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১৩ জন সিলেক্ট কমিটির সভাপতির প্রশ্নের জবাবে সংসদীয় যোগাযোগ কমিটিকে বলেন, “আমি মনে করি দখল অবৈধ। ব্রিটিশ সরকার বরাবরই এই নীতিতে বিশ্বাসী।”

তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, “আমার মতে, শত্রুতা পুনরায় শুরু করাটা ‘ভুল’ পদক্ষেপ।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ফিরে যেতে হবে। সাহায্য আনতে হবে। জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে।

তিনি বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের ভূমিকা প্রয়োজন।” তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় বলে অভিহিত করেছেন।

তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় যোগাযোগ কমিটিকে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, “আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং বিশ্বজুড়ে খুবই চ্যালেঞ্জিং।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, মার্কিন শুল্ক আরোপের ঘটনায় তিনি ‘হতাশ’। তিনি মনে করেন না যে, এটি দেশের অর্থনীতির জন্য বা বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির জন্য ভালো।

তবে তিনি আরো বলেন, “বিকল্প উপায়গুলো আমাদের আলোচনার টেবিলে রাখা উচিত এবং প্রয়োজনে প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ করা উচিত।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘটনায় বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। তবে তিনি এটিকে একটি ‘ক্ষণস্থায়ী পর্যায়’ বলেই মনে করেন।

স্টারমার বলেন, “দুটি জিনিস করা প্রয়োজন। প্রথমটি হলো আমাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, আরো দ্রুত এবং আরো অনেক কিছু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যের বাধা কমানোর বিষয়ে অন্যান্য সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।”