ম্যাচের আগে নেমানিয়া ম্যাটিচ বলেছিলেন, “আন্দ্রে ওনানা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে গোলরক্ষক।” সেই কথাটাকেই যেন সত্য প্রমাণ করলেন এই গোলকিপার। তাঁর করা বড় দুটি ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে রেড ডেভিলদের। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
পার্ক অলিম্পিক লিওনিসে ওনানার প্রথম ভুলে ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল হজম করে রেড ডেভিলরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে সেই গোল শোধ করেন ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লেনি ইউরো। নাটকে ভরা ম্যাচের ৮৮ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। তবে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দ্বিতীয়বার মারাত্বক ভুল করে বসেন ওনানা। তাতে ২-২ গোলে ড্র করে ফিরতে হয় রুবেন আমোরিমের শিষ্যদের।
ওনানা ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “লিওর তুলনায় ইউনাইটেড অনেক ভালো দল”, যা দুই পক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধের সৃষ্টি করে। এই কথার প্রেক্ষিতে সাবেক ইউনাইটেড এবং বর্তমান লিও মিডফিল্ডার ম্যাটিচ বলেছিলেন, “আন্দ্রে ওনানা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে গোলরক্ষক।” ম্যাটিচের ধারণা যে ভুল না, তা প্রমাণ হয়েছে ওনানার পারফরম্যান্সে।
ইউনাইটেডের ভালো পারফরম্যান্স ওনানার ভুলে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। রেড ডেভিলদের কোচ তাঁর গোলরক্ষককের পাশে দাঁড়ালেও হতাশা গোপন করতে পারেননি, “ফুটবলে অনেক ম্যাচ খেলতে হয়, ভুল হতেই পারে। যদি পুরো মৌসুম দেখি, তাহলে আমিও গত কয়েক মাসে ওদের চেয়ে বেশি ভুল করেছি। এখন আমাদের সামনে আরেকটা ম্যাচ আছে, সেখানেই মন দিতে হবে। ইউরোপে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করাও কঠিন।”
যদিও ইউনাইটেডের পর্তুগিজ কোচকে ম্যাচ শেষে খুব একটা বিচলিত মনে হচ্ছিল না। কারণ তিনি জানেন যে, গ্রীষ্ম দলবদল আসার আগ পর্যন্ত এই গোলরক্ষককে নিয়েই তাঁর চালিয়ে যেতে হবে। আমোরিম বলেন, “সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গোলগুলো দেখা, সব অ্যাকশন বিশ্লেষণ করা। এটাই একজন খেলোয়াড়কে সাহায্য করার সেরা উপায়। আমার এখন ওনানাকে বলার কিছুই নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাভাবিক থাকা এবং যখন সময় আসবে, আমি সেরা একাদশ বেছে নেব। তবে আমি ওর (ওনানা) ওপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।”