সারা বাংলা

‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে পাখিদের আবাসন ধ্বংস হচ্ছে’

বার্ড বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট ও পাখি বিশেষজ্ঞ সাজাহান সরদার বলেছেন, “প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন পর্যায়ে পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭ শতাধিক প্রজাতির পাখি রয়েছে বিশ্বে। তবে এ সংখ্যা দিন দিন কমছে।” 

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের সরদার পাড়া এলাকায় নিসর্গ অঙ্গনে বার্ড বাংলাদেশ আয়োজিত দ্বিতীয় জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষক সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাজাহান সরদার বলেন, “এখন কমছে পাখির প্রজাতির সংখ্যাও। আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে যে পাখিগুলো দেখেছি, এখন সেই পাখি দেখা যাচ্ছে না। অনেক পাখি দেখা যাচ্ছে, যাদের আগে দেখিনি। আবাসন সংকুচিত ও পরিবর্তিত হওয়ায় পাখিদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে।” 

তিনি বলেন, “গ্রামীণ ঝোঁপ জঙ্গল কমছে। আমাদের দেশীয় পাখির সবচাইতে বড় আবাসন হচ্ছে দেশীয় ঝোঁপ জঙ্গল ও গ্রামীণ জলাশয়। শহরকেন্দ্রিক পাখিদের আবাসনস্থল একবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে করে পাখিদের ভুবন ছোট হচ্ছে।” 

তিনি আরো বলেন, “সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।” 

এর আগে, মুন্সীগঞ্জে শহরের সরদার পাড়া নিসর্গ অঙ্গনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষক সন্মেলন উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ। অতিথি হিসেবে ছিলেন- মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার সামসুল আলম সরকার ও চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক ড. মোল্লা রেজাউল করিম।

সম্মেলনকে কেন্দ্র সকাল থেকেই চলে নানা কর্মযজ্ঞ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা আসেন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে। মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। 

সর্বশেষ পাখি পর্যবেক্ষণ এবং নদী পথে দেশীয় ও বিদেশী পাখি দেখার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষণ সম্মেলন।