গাছ কেটে ভবন নির্মাণ ও পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে দুই দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মুরাদ চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হলো— মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া অপরিকল্পিত বৃক্ষ নিধন ও যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে লেক খনন করে ক্যাম্পাসের প্রাণবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলেছি, মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া জাহাঙ্গীরনগরে কোনো ভবন নির্মাণ হবে না। বিগত আওয়ামী প্রশাসন আন্দোলনকারীদের কথা তোয়াক্কা না করে চালিয়ে গেছে ‘শপিং লিস্ট উন্নয়ন’। সবুজ জাহাঙ্গীরনগর এখন অধিকাংশেই কংক্রিটের জঙ্গল। ১৪৮৫ কোটি টাকার লুটপাটে ক্যাম্পাসের প্রাণ-প্রকৃতি যেমন মরেছে, তেমন তৈরি হয়েছে নিম্নমানের ভবন। এগুলো শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে তো লাগেইনি, বরং নষ্ট করেছে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা। লেকচার থিয়েটার হল নির্মাণের পরেও কীসের এত ভবনের প্রয়োজন?”
তিনি বলেন, “আওয়ামী উন্নয়ন দর্শন অনুসরণ করেই নতুন প্রশাসন আজ আবারো অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটতে উদ্যত। দায়িত্ব গ্রহণের এত মাস পরেও মাস্টারপ্ল্যানের টেন্ডার আহ্বান করতে প্রশাসন ব্যর্থ কেন? কার কথায়, কার নির্দেশে আর কার স্বার্থ হাসিল করতে আবারো গাছ কাটার উদ্যোগ? এই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।”
জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনের সংগঠক ফারিয়া জামান নিকি বলেন, “সিএসির বিল্ডিং এর সামনে ভবন হলে প্রায় অর্ধশত গাছ কাটা পরবে। কিন্তু স্থান বিবেচনায় এ জায়গাটি ক্যাম্পাসের প্রাণীগুলোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশের রাস্তাটা দিয়েই বিভিন্ন প্রাণী যেমন শেয়াল, গুইসাপ বটতলার দিকে যায় এবং সেখান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে।"
তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে ঝোঁপ নিধন আর অপ্রয়োজনীয় ভবনের কারণে ইতোমধ্যে শেয়ালরা লোকালয়ে আসা শুরু করেছে। এ অবস্থায় এখানে যদি ভবন হয়, নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ক্যাম্পাসের এ অংশের সঙ্গে ওই অংশের প্রাণীদের যে যোগাযোগের রাস্তা,খাদ্য সংগ্রহ সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।”