আন্তর্জাতিক

কাশ্মিরে হামলার দায় স্বীকার করল টিআরএফ

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগাঁওয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পর্যটকদের ওপর হামলা করে বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। এটি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা বা এলইটি গোষ্ঠীর একটি ছায়া সংগঠন।

টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। ওই বছরই বিজেপি সরকার সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে। যার ফলে জম্মু ও কাশ্মিরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র অবলুপ্তি হয়। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছ’জন মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।

জম্মু-কাশ্মিরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। প্রতি বছর পহেলগাঁওয়ে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে যান। 

পুলিশ জানিয়েছে, এক দল পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই দলটিকেই নিশানা করে হামলাকারীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর আমরা যত আক্রমণ দেখেছি তার চেয়ে এই আক্রমণ অনেক বড়।”

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে টিআরএফ গোষ্ঠী এবং তাদের সকল ফ্রন্ট গ্রুপকে নিষিদ্ধ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযোগ, অনলাইনে কাশ্মিরের তরুণদের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করছে নতুন এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি।

হামলার ঘটনার পর পহেলগাঁও উপত্যকায় নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের অন্যান্য জায়গাও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতেই কাশ্মিরে পৌঁছেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সৌদি আরব সফরসূচি কাঁটছাঁট করে বুধবার সকালে দিল্লি ফিরে এসেছেন। বিমানবন্দরেরই তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন মোদি। 

এদিকে, এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।