পহেলগাম হামলার পর থেকে কাশ্মীরজুড়ে ভারতীয় বাহিনী কমপক্ষে নয়টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের একটি গোষ্ঠী। ভারতের দাবি, এই গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পর্ক রয়েছে।
সীমান্তবর্তী কুপওয়ারা জেলায় সন্দেহভাজন লস্কর-ই-তৈয়বার যোদ্ধা ফারুক তিদওয়ারের এক আত্মীয় বলেছেন, “স্থানীয় জনগণকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এগুলো ইসরায়েলি কৌশল। নিরীহ পরিবারগুলোর দোষ কী? বাড়িগুলো জঙ্গিদের নয়। কয়েক বছর আগে তারা যখন তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তখন তারা তাদের পরিবারকেও ছেড়ে চলে গিয়েছিল।”
রবিবার ফারুকের পারিবারিক বাড়ি নিরাপত্তা বাহিনী উড়িয়ে দিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে কৌশলটিকে সম্মিলিত শাস্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকে তাতে হামলা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিস্তিনিদের পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ইসরায়েল নিয়মিতভাবে গুঁড়িয়ে দেয় বা বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।
ফারুকের স্বজনার জানিয়েছেন, সে ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল এবং আর কখনো ফিরে আসেনি।
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার মুরান গ্রামের স্থানীয়রা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনী সন্দেহভাজন বিদ্রোহী আহসান শেখের বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার সময় কমপক্ষে ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত একজন বাসিন্দা বলেন, “আমরা মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলাম, ঠিক তখনই তারা আমাদের প্রতিবেশীর বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। আমাদের বাড়ি এবং তার আশেপাশের আরো এক ডজন বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আমাদের দোষ কী ছিল? আমরা এখন কী করব জানি না।”