সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ‘আয়নাঘরে’ আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেখান থেকে সুড়ঙ্গ বানিয়ে বের হয়ে আসার দাবি করা বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “শুক্রবার রাতে মামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
আরো পড়ুন: রায়গঞ্জে ‘মিনি আয়নাঘর’, খতিয়ে দেখছে পুলিশ
‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পাওয়া শিল্পী খাতুন রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষিবিষ্ণুপ্রসাদ গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বার একই ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া গ্রামের মৃত রুস্তম শেখের ছেলে।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামে জহুরুল ইসলামের ছেলে সুমনের বাড়ির একটি ঘরে শিল্পী খাতুন ও তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল জুব্বারকে ছয় মাস আটকে রাখেন গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাত ও তার সহযোগীরা। গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে কেচি দিয়ে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে সেখান থেকে বের হন শিল্পী খাতুন ও আব্দুল জুব্বার।
তিনি জানান, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (২ মে) সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আয়নাঘরের সন্ধ্যান পান। সেখান থেকে নাজমুল ইসলাম আরফাতকে আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমন ও আরাফাতের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
তিনি আরো জানান, ছয় মাস তারা একটি অন্ধকার, দমবন্ধ পরিবেশে বন্দি ছিলেন। কোনো আলো-বাতাস সেখানে প্রবেশ করতে পারত না। আরাফাতের ফেলে যাওয়া কেচি তাদের মুক্তির উপায় হয়। কেচি দিয়ে মাটি খুড়ে তারা বেরিয়ে আসেন। আরাফাতের সঙ্গে তাদের পুরোনো শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই তাদের অপহরণ করে গুপ্তস্থানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।