সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চলমান আইপিএল মৌসুমের প্লে’অফ খেলুক, ব্যাপারটা ক্রিকেট বিধাতা হয়ত চাচ্ছেন না। তা না হলে আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে কেন এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি? আবার যখন শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকতে নিজেদের খানিকটা গুছিয়ে নিল প্যাট কামিন্সের দল, তখনই বা কেন বাধ সাধল প্রকৃতি?
আইপিএলে টিকে থাকতে হলে সব ম্যাচ জিততেই হবে, এমন সমীকরণ নিয়ে সোমবার (৫ মে) ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটেলসকে ১৩৩ রানে আটকে দেয় হায়দরাবাদ। তবে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা দলটি ব্যাটিংয়েই নামতে পারল না বৃষ্টির বাঁধায়।
ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে অতিথী দল দিল্লিকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় হায়দরাবাদ। কামিন্সের প্রথম বলেই ঈশান কিষাণেরর ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন করুণ নায়ার। এর পর আরও তিনটি ক্যাচ নেন ঈশান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ফাফ ডুপ্লেসিকে (৩) ফেরান কামিন্স। পঞ্চম ওভারে ফেরেন অভিষেক পোড়েল (৮)। পরের ওভারে ফিরে যান অক্ষর পটেলও (৬)। বিপদের সময়ে লোকেশ রাহুলের উপরে ভরসা করেছিল দিল্লি। এই ম্যাচে তিনিও (১০) ব্যর্থ হন।
এক সময় ২৯ রানে ৫ উইকেট হারায় দিল্লি। সেখান থেকে কিছুটা স্রোতের বিপ্রীতে হাঁটার চেষ্টা করেন ট্রিস্টান স্টাবস এবং বিপরাজ নিগম। রানের গতির দিকে নজরই দেননি দু’জনে। কোনও রকমে ক্রিজ়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন। সেটাও সম্ভব হয়নি। ৩৩ রানের জুটি হওয়ার পর স্টাবসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন বিপরাজ। ৬২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল দিল্লির দলীয় সংগ্রহ তিন অংক স্পর্ষ করবে না।
সেটা অবশ্য হতে দিলেন না স্টাবস এবং আশুতোষ। চাপে পড়ে আশুতোষকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়ে দিয়েছিল দিল্লি। তিনিই বাঁচালেন দলকে। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ২ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস ১০০ পার করে দিল্লি। যোগ্য সঙ্গত দেন স্টাবসও (অপরাজিত ৪১)। দু’জনে সপ্তম উইকেটে ৪৬ রান তোলেন।
ম্যাচ বৃষ্টির গর্ভে যাওয়ায় এক পয়েন্ট করে পেয়েছে দুই দল। আর তাতেই প্লে’অফের দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছিটকে গেল হায়দরাবাদ। ১১ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ কমলা শিবিরের। কোনও ভাবেই ১৪ পয়েন্টে পৌঁছনোর সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। অন্যদিকে স্বস্তিতে নেই দিল্লিও। এই ম্যাচ থেকে দু’পয়েন্ট পেলে চারে উঠে আসতে পারত অক্ষর প্যাটেল বাহিনী। রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে থাকল টেবিলের পঞ্চম স্থানে।
বৃষ্টি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে না এলে জিততে পারত না দিল্লি। তাই অপ্রত্যাশিত এক পয়েন্টে নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট দলটি।