নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে বাংলাশের ইনিংসে। প্রথমে অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তার পরপরই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজন চতুর্থ উইকেটে ২২৫ রানের জুটি গড়েছেন।
তাতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড উড়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনঅফিসিয়াল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৪৪ রান করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ১০১ বলে ৭টি করে চার ছক্কায় ১১২ রান করেন সোহান। মাহিদুল ১০৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আজ জিততে সিরিজ জিতে স্বাগতিকরা। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। এবার বোলারদের পালা।
টস জিতে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ১৫.১ ওভারে ৯৭ রান তুলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হারায় ৩ উইকেট। চতুর্থ ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন ১০ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন। সেখান থেকে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ দলের হাল ধরেন। দুজনই ভালো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নেন। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাট থেকেই আসবে বড় ইনিংস।
দৃষ্টিনন্দন ৩টি করে চার-ছক্কায় এনামুল ৩৪ বলে ৩৯ রান করে পথ ভোলেন। তাতে অনুসরণ করেন নাঈম শেখও। ৪১ বলে ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপরই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটিংয়ের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সোহান এসে কাউন্টার অ্যাটাকে রান তোলেন। সময় নিয়ে আক্রমণে যান মাহিদুল।
সোহান ফিফটিতে পৌঁছান ৫৩ বলে। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে খেলেন আরো ৩৯ বল। মাহিদুল ৬৮ বলে ফিফটির দেখা পান। পরের পঞ্চাশ পেতে খেলেন আরো ৩৫ বল। দুজনের ব্যাটেই ছিল চার-ছক্কার স্রোত। তাতে উড়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। সেঞ্চুরির পথে দুজনই জীবন পেয়েছেন। ৮০ রানে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সোহান। ৯১ রানে পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন মাহিদুল।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত কেউই ক্রিজে ছিলেন না। মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৩ ও শামীম হোসেন ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অতিথিদের সেরা বোলার ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। ৭১ রানে ২ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জ্যাক ফুলকস ও আদী অশোক।