WHO এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ স্ক্যাবিসের আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে এ বছর এই রোগের প্রকোপ আরও বেশি। বিশেষ করে কুমিল্লা এবং রাজশাহীতে স্ক্যাবিস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘‘ স্ক্যাবিস এক ধরণের চর্মরোগ। রোগী প্রথমে মনে করেন অ্যালার্জি হয়েছে। অ্যালার্জির অন্যান্য কারণগুলো যেমন ইমিউনিটির সঙ্গে রিলেটেড তেমনি স্ক্যাবিসের সঙ্গে একটি পরজীবী পোকা রিলেটেড। ’’
ডা. তাহমিনা ইসলাম, কনসালটেন্ট, ই ডব্লিউ ভিটা মেডিকা বাংলাদেশ লিমিটেড একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘গরম হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। গরমের প্রকোপ বাড়লে স্ক্যাবিসের প্রকোপ হঠাৎ করে বেড়ে যায়। যে এলাকায় ঘনবসতি বেশি সেখানে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি।’’
‘‘স্ক্যাবিসে সংক্রমিত হওয়ার প্রায় ১৫ দিন পর থেকে রোগীরা আসলে লক্ষণগুলো দেখতে পান। এই রোগ শুরু হয় আঙ্গুলের ভাঁজগুলো থেকে। ছোট ছোট পানির দানার মতো দেখা যায়। মেয়েদের নিপলের চারপাশে দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে পেনিসের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়।’’—যোগ করেন ডা. তাহমিনা ইসলাম
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘স্ক্যাবিসের লক্ষণ দেখা দিলে যদি সঙ্গে সঙ্গে ফার্মেসি থেকে কোনো মলম কিনে ব্যবহার করে ফেলেন- তাহলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে। রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসা চলাকালে একইসঙ্গে পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা নিতে হবে। যখন ওষুধ খাবেন তখন একই সঙ্গে ব্যবহৃত কাপড়, বিছানার চাদর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নেবেন। যাদের কড়া রোদে কাপড় শুকানোর সুযোগ নেই তারা কাপড় শুকিয়ে যাওয়ার পরে ভালো করে ইস্ত্রী করে নেবেন।’’