সারা বাংলা

পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে দুইপক্ষের কর্মসূচি

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা এবং বাংলাদেশ আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (চাটমোহর) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

এদিকে, মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির প্রতিবাদে আরইবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এর নেতৃত্বে মানববন্ধন হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তর চাটমোহরে পৃথক পৃথক এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন সকাল দশটায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এ সময় তারা অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, মামলা প্রত্যাহার, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, বৈষম্য, নির্যাতন, নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান। তারা নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিতসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা বলেন। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, তাদের কর্মসূচি শুরুতেই সমিতির জিএম আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী তাদের বাধা দেন এবং কর্মসূচি না করার জন্য নির্দেশ দেন। একইসাথে তিনি আরইবির কর্মসূচির সাথে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, “পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংস্কার চাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চরম বৈষম্যের শিকার তারা। মার্চ টু ঢাকার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে চাটমোহরে কর্মসূচি করতে গেলে জিএম তাদের বাধা প্রদান করেন।”

অন্যদিকে আরইবির নির্দেশনা অনুযায়ী পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির বিরোধিতা করে সমিতির চাটমোহর’ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেন। তার সাথে সমিতির ১৫-২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সাত দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী বলেন, “তাদের কোন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়নি। তারা তো কর্মসূচি পালন নয়, ব্যানার টাঙ্গাতে এসেছিল। পরে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। আমাদের সমিতির কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকাতে যায়নি,” বলে দাবি করেন তিনি।