চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘুবিষয়ক পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে চাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় চবির বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ছাত্র সংগঠনগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, “আমরা চাকসুর গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘু জাতিসত্তাবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। চবিতে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। বহু ভাষা, জাতি, ধর্মে ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যাম্পাস দেশে আর কোথাও নেই। পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা নিশ্চিতকরণে এই সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হবে।”
তিনি বলেন, “রেসিজম, বুলিং প্রতিরোধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের সম্পদ, তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরবে। ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেটে যে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে, তার মধ্যে পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীর এই সম্পাদক প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে চাকসুর গঠনতন্ত্রে এছাড়া আরো চারটি পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো, পরিবহন ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক, নারী বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি অথবা জিএস যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ছাত্র সংগঠনসমূহের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরের ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি ধন রঞ্জন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের (বিএমএসসি) সাংগঠনিক সম্পাদক সাথোয়াই অং মারমা, বিএমএসসির সাংস্কৃতিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিংয়ইপ্রু মারমা, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিনেট চাকমা এবং ওঁরাও জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী পিযুষ টপ্য।