মিডিয়া

হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, সংগ্রহে ব্যস্ত জেলেরা

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। টানা বর্ষণ এবং নদীতে ঢলের সৃষ্টি হওয়ায় মা মাছগুলো শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাতে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন শতাধিক জেলে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহে ব্যস্ত আছেন। তাদের অনেকেই কয়েক বালতি করে ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে কার্পজাতীয় মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়ে। জোয়ার বাড়ার সাথে ডিমগুলো হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। যারা শুরু থেকে ডিম সংগ্রহ করতে নদীতে ছিলেন, তারা বেশি ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তারা ২ থেকে ৩ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন। কাঙ্ক্ষিত ডিম সংগ্রহ করতে পেরে জেলেরা ভীষণ আনন্দিত। বর্তমানে ডিম সংগ্রহকারীরা হ্যাচারি ও মাটির কুয়ায় ডিম ফোটানোর কাজে ব্যস্ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০০ থেকে ৩৫০টি নৌকা ডিম সংগ্রহে নেমেছে। কয়েক বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ডিম সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন জেলেরা।

হালদা নদীর গড়দুয়ারা অংশে ডিম সংগ্রহে ব্যস্ত থাকা জেলে সিকান্দার মাঝি বলেছেন, “আমরা বছর জুড়ে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। আজ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর বেশি ডিম পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েক বালতি ডিম সংগ্রহ করেছি। চার দিন পরিচর্যার পর এই ডিম থেকে রেণু পোনা পাওয়া যাবে।” 

গতকাল বৃহস্পতিবার অমাবস্যার জোঁ বা তিথির (চতুর্থ জোঁ) শেষ দিনে সকাল ১১টার দিকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর বিভিন্ন স্পনিং গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মা মাছ। প্রথমদিকে, খুবই সামান্য পরিমাণে নমুনা ডিম পাওয়া গেলেও পরে জোয়ার বাড়ার সাথে সাথে ডিমের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে থাকে। যেহেতু, অমাবস্যার জোঁ চলছে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হলেই রাতেই পুরোদমে ডিম ছাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল এবং ঠিক তা-ই হয়েছে।