নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
রবিবার (১ জুন) লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গতকাল এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ভাসানচর থানার সাব পোস্টমাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- জেলার সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের ছেলে তামিম (৩)।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ৪ পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ভাসানচর থেকে হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে।
যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পরই করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরে মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর ৩৫ জনকে জীবিত ও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দুই জন। কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।