হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাস চালকের পর এবার সিলেট থেকে অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ। সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে র্যাব-৯ সিলেট সদর কোম্পানী ও সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এবং পুলিশের একাধিক টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালপুর এলাকা থেকে বাস হেলপার লিটন মিয়া গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের পর লিটনকে সিলেট র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজ ছাত্রী।
কলেজ ছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকেন। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে বিলাস পরিবহন বাসে সিলেট আসেন। পরে সিলেট থেকে মা এন্টারপ্রাইজ নামের বাসে দাদার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। শেরপুর এলাকায় বাসটি যাত্রীশূন্য হলে একা পেয়ে বাসচালক ও হেলপার মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।
বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। রাত ১২টার দিকে চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। সোমবার (১৬ জুন) সকালে নবীগঞ্জ থানায় তরুণী নিজে বাদী হয়ে বাস চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত বাস চালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী ঢাকা ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী। চলন্ত বাসে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।