অনেকেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাড়গুলোর এক বা একাধিক জোড়ায় ব্যথা অনুভব করেন। অনেক সময় ব্যথার তীব্রতা বেশি থাকে। এটি সাধারণ একটি রোগ মনে হলেও কখনও কখনও ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। ডা. শায়লা হক এমবিবিএস (ডিইউ), পিজিটি (মেডিসিন) একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অনেক পেসেন্ট এসে বলেন, গিরায় গিরায় ব্যথা করে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। খুব সাধারণ মনে হলেও এটার পেছনে অনেক ধরণের কারণ লুকিয়ে আছে। জয়েন্ট পেইনগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শরীরে হাড়ের যে জোড়াগুলো আছে, এই জায়গাগুলোতে ব্যথা হবে। ব্যথার ধরণ মাঝারি বা তীব্র হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে উঠে হাত পা নাড়াতে পারেন না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়। আবার কারও কারও একটা জয়েন্ট ফোলা থাকে, কারও কারও দুই বা তিনটা জয়েন্ট ফোলা থাকে।’’
শরীরের যে অংশে ফোলা থাকে সেই অংশের তাপ অন্যান্য জায়গার চেযে একটু বেশি হয়। অনেকের মুভমেন্টের সময় মনে হয় জোড়াগুলো ছিঁড়ে আসছে। কেন হয় জয়েন্টের ব্যথা?
এই চিকিৎসক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা জয়েন্টের পেছনে কানেকটিভ টিস্যু থাকে। এখানে কার্টিলেজ থাকে, এই কার্টিলেজ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে জয়েন্টে ব্যথা হয়। আর্থ্রাইটিসের প্রভাবেও জয়েন্টে ব্যথা হয়। অনেক সময় ভাইরাস আক্রান্ত হলে ব্যথা হতে পারে। এরপরেও একটি বড় সমস্যা হলো জয়েন্টে যদি ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।’’
প্রতিরোধে করণীয় জয়েন্ট ফুলে গেলে ক্রমান্বয়ে যদি গরম পানি আর ঠাণ্ডা পানির সেঁক দেওয়া যায় তাহলে জয়েন্টের ব্যথা কমতে পারে। যাদের জয়েন্টেরগুলো জমে যায়, তারা ব্যায়াম করতে পারেন। আঘাত পাওয়ার কারণে জয়েন্টে ব্যথা হলে ব্যথানাশক ওষুধ খেলে ব্যথা কমে আসতে পারে।
দীর্ঘদিন জয়েন্টের ব্যথায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। বড় কোনো রোগের কারণে এই ব্যথা হলে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।