জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য দিয়েছেন বলে শুক্রবার (১৭ জুন) আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, উভয় নেতা উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাওয়া রোধে তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার ব্যাপারে একমত হন।
এই সংলাপ আন্তর্জাতিক মহলের সেই চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিধি আরো বিস্তৃত হওয়া ঠেকানো।
১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। অথচ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অথচ এই অভিযোগে ইরানের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অথচ তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।
ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।