খেলাধুলা

ড্র-তেই গল টেস্টের ইতি

প্রথম ইনিংস-  বাংলাদেশ: ৪৯৫/১০ শ্রীলঙ্কা: ৪৮৫/১০  

দ্বিতীয় ইনিংস: বাংলাদেশ: ২৮৫/৬ (লিড: ২৯৫)  শ্রীলঙ্কা: ৭২/৪   

ফল: ড্র

১৭৭ রানে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। শান্ত-মুশফিক দুজনে খেলতে থাকেন দারুণভাবে। মুসফিক ৪৯ রানে আউট হলে ভাঙে শতরানের জুটি। এরপর বৃষ্টি আসে। বাংলাদেশের লিড তখন আড়াইশর কাছাকাছি। বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করেনি। শান্ত টানা দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। টার্গেট দাঁড়ায় ২৯৬। মাত্র এক সেশন বাকি থাকায় ফল পাওয়া ছিল অকল্পনীয়। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে ৭২ রান করে দ্বিতীয় ইনিংসে। তাইজুল একাই নেন ৩ উইকেট। 

ড্রতেই ইতি 

তাইজুলের ঘূর্নিতে ধনাঞ্জয়ার বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। সাড়া না দিলে রিভিউ নেন শান্ত। রিভিউতেও নট আউট থাকেন ধনাঞ্জয়া। এরপর শান্ত আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে ড্র মেনে নেওয়ার কথা জানান, হাত মেলান মাঠে থাকা দুই ব্যাটারের সঙ্গে।  ১২ বছর ও ২৬ ম্যাচের পর এই প্রথম গলে কোনো ম্যাচ ড্র হলো। 

চা বিরতির আগে তাইজুল-নাঈমের ঘূর্ণিজাদু 

চা বিরতির আগে শেষ তিন ওভারে দুই উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন তাইজুল-নাঈম। শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ৩৪। নিসাঙ্কা ২৪ করে আউট হন। ক্রিজে আছেন ম্যাথুজ-চান্দিমাল। শেষ সেশনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট, আর শ্রীলঙ্কার ২৬৩ রান। অভাবনীয় কিছু না ঘটলে ড্রতেই ইতি ঘটবে ম্যাচের। 

শান্তর সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৯৬ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সামনে ২৯৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। শান্ত সর্বোচ্চ ১২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া সাদমান ইসলাম ৭৬ ও মুমিনুল হক ৪৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তারিন্দু। 

শান্তর সেঞ্চুরির রেকর্ড

বাংলাদেশের প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন শান্ত। তারিন্দুকে সিঙ্গেল নিয়ে শান্ত দেখা পান তিন অঙ্কের ম্যাজিকফিগারের।শান্তর আগে বিশ্বের ১৫ অধিনায়কের এমন কীর্তি রয়েছে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চারের মারে। 

পারলেন না জাকেরও, সেঞ্চুরির পথে শান্ত

লিটনের আউটের ধাক্কা না সামলে উঠতেই মাঠ ছাড়লেন জাকের আলী। তারিন্দুকে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আগেভাগেই এগিয়ে যাওয়ায় ধরা পড়ে যান। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরির পথে থাকা শান্তর সঙ্গী নাইম। সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ৩ রান। 

আড়াইশ ছাড়ালো লিড, ৩ রানে ফিরলেন লিটন

ব্যাটিংয়ে নামার দুই বল না যেতেই বাংলাদেশের লিড আড়াইশ স্পর্শ করে। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা শান্তর সঙ্গী হন লিটন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তারিন্দুর ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৫ বলে ৩ রান করেন লিটন। 

ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে গল টেস্ট

মুশফিকের আউটের পরই গলে শুরু হয় বৃষ্টি। নেওয়া হয় আরলি লাঞ্চ। এর মধ্যে বৃষ্টি একবার থামে, মাঠ পরিচর্যার কাজ শুরু হয়। কিন্তু ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু করা যায়নি। দুই সেশনেরও কম সময় বাকি থাকায় ড্র ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ২টা ৪০ মিনিট থেকে পুনরায় খেলা শুরু হয়।  

মুশফিকের আউটের পরই গলে বৃষ্টির হানা

ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। এ সময় দূর্ভাগা রানআউটের শিকার অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপরই গলে বৃষ্টির হানা। তার আউটে ভাঙে ১০৯ রানের জুটি। এর আগে ১৬৭ বলে শান্তর সঙ্গে গড়া জুটির শতরান পূর্ণ হয়। শান্ত ৮৯ রানে অপরাজিত আছেন। 

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় শান্ত-মুশফিক

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় শান্ত-মুশফিক। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের লিড দুইশ পেরিয়ে যায়। ফিফটি নিয়ে দিন শুরু করা শান্ত ও মুশফিক দুজনেই সুযোগ পেলেই রান বের করার চেষ্টা করছেন। জয়ের জন্য চিন্তা করলে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৮২ বলে। 

মাঠে বাংলাদেশ 

লিড বাড়ানোর আশায় গল টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে বাংলাদেশ। ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মাঠে নেমেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ৫৬ ও মুশফিক ২২ রানে দিন শুরু করেন।

শান্তর ফিফটিতে দিনের ইতি, বাংলাদেশের লিড ১৮৭

চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭৭। লিড ১৮৭। 

তখন মাত্র ১ ওভার বাকি। তারিন্দুকে চার মেরে ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান শান্ত। এক বল ডট দিয়ে আবারও চার মারেন। পরের ওভারে মাত্র ২ রান আসে। এরপরই চতুর্থ দিনের খেলার ইতি। শান্ত ৫৬ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। ৭৬ রান করেন সাদমান। এর আগে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অলআউট হয় ৪৮৫ রানে। নাঈম একাই নেন ৫ উইকেট।