জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এখন আর কেবল ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়, এটি এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা— এমন মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। অভিযোজনকেই এখন প্রধান কৌশল হিসেবে নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শুক্রাবাদে দৃকপথ ভবনে আয়োজিত ‘‘ডিসকাশন, বুক লঞ্চিং অ্যান্ড ফটো এক্সিবিশন অন লাইভস অন দি এজ অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দি ফিউচার’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এখন সময়ের দাবি। অথচ উন্নত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজেদের স্বার্থে কোনও ছাড় দিতে রাজি নয়।”
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বর্তমান সরকার জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৪২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এর মধ্যে ১০০টি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে, যেখানে কৃষকেরা বিনামূল্যে ফসল সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য জলবায়ু ফান্ডে আবেদন নিশ্চিত করতে সরকার নীতিগত সহায়তা দেবে। উপকূলীয় এলাকার জনগণের সুরক্ষায় বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’’
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর চেয়ারপার্সন ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অক্সফামের বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে, দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা ‘‘লাইভস অন দি এজ অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দি ফিউচার’’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ফটো এক্সিবিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।