বাংলাদেশ: ১১৫/৬
প্রথম ইনিংস- বাংলাদেশ: ২৪৭/১০ শ্রীলঙ্কা: ৪৫৮/১০ লিড: ২১১ রান
তারিন্দুর করা ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন মিরাজ। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে সেটি শ্রীলঙ্কার পক্ষে যায়। মিরাজ আউট হন ১১ রানে। এরপরেই তৃতীয় দিনের খেলার ইতি ঘটে। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে আছেন শুধু লিটন। তিনি অপরাজিত ১৩ রানে। এর আগে মুশফিক ফেরেন ২৬ রানে। এতে দলের বিপদ বাড়ে বেশি। এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৯৬ রানে। হাতে মাত্র ৪ উইকেট। শংকা দিচ্ছে ইনিংস পরাজয়ের। দুটি করে উইকেট নেন প্রভাত-ধনাঞ্জয়া আর ১টি করে উইকেট নেন আসিথা-তারিন্দু।
মুমিনুল-শান্তর বিদায়ে বিপাকে বাংলাদেশ
জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুমিনুল-শান্ত। খেলছিলেন দারুণভাবে। হঠাৎ ছন্দপতন। ধনাঞ্জয়ার আউটসাইড অফের বলে খোঁচা দিয়ে বসেন। প্রথম স্লিপের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেন কুশল। ৩৩ বলে ১৫ রান করেন মুমিনুল। তার আউটে ভাঙে ৩২ রানের জুটি। এরপর শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি শান্ত। ৭ রানের জুটিতেই ইতি। ধনাঞ্জয়ার ঘুর্ণিতে এলবিডব্লিউর শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী লিটন। এ দুজনই এখন ভরসা।
বিরতির পর ফিরেই সাদমান আউট
বিরতির পর দ্বিতীয় বলে সাদমান আউট। প্রভাতের বলে উদারার হাতে ক্য্যাচ তুলে দেন সাদমান। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী শান্ত। দুজনই নতুন ব্যাটার।
বিজয়ের আউটের পর চা-বিরতি
এবার ভালো শুরু করেও পারলেন না বিজয়। দুই চারে ১৯ রানে থামলেন। তার আউটের পরই চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার আগে রান ১ উইকেটে ৩১। আসিথার শর্ট বলে পরাস্ত হন। ২২ বলে ১২ রান করে অপরজিত আছেন সাদমান। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ১৮০ রানে।
বাংলাদেশের সামনে ২১১ রানের লিড, তাইজুলের ফাইফার
প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান করে থেমেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে এই রান করে স্বাগতিক শিবির। সর্বোচ্চ ১৫৮ রান করেন নিসাঙ্কা। এ ছাড়া চান্দিমাল ৯৩ ও কুশল ৮৪ রান করেন। কুশলের রানআউটেই দ্রুত অলআউটে সুবিধা হয়। ১৩১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। ৩ উইকেট নেন নাঈম। আর রানা পান ১ উইকেটের দেখা।
বাড়ছে শ্রীলঙ্কার লিড
দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে নিয়িত বিরতিতে উইকেট পড়লেও বাড়ছে শ্রীলঙ্কার লিড। বিরতিতে যাওয়ার আগে দলটির রান চারশ পার হয়। লিড ১৫৪। কুশল মেন্ডিস ৪২ ও সোনাল দিনুশা ৮ রানে ব্যাট করছেন। এর আগে দিনের শুরুতে নিসাঙ্কা ১৫৮, ধনাঞ্জয়া ৭, জয়সুরিয়া ১০ ও কামিন্দু মেন্ডিস ৩৩ রানে ফেরেন। এই সেশনে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেট হারায়। তাইজুল নেন দুই উইকেট আর ১টি করে উইকেট নেন নাঈম-রানা।
এবার তাইজুলের শিকার ধনাঞ্জয়া
তাইজুলের বল পিচড হয়েই পায়ে লাগে ধনাঞ্জয়ার। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন এই ব্যাটার। কিন্তু লাভ হয়নি। ৭ রান আসে ধনাঞ্জয়ার ব্যাট থেকে। ৮ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে জয়সুরিয়ার সঙ্গী কামিন্দু।
দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান নিসাঙ্কাকে ফেরালেন তাইজুল
নিসাঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটে দিন শুরু হলো বাংলাদেশের। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন অপারিজত সেঞ্চুরি নিয়ে দিন শুরু করা নিসাঙ্কা। শর্ট কাভারে নিচু হয়ে যাওয়া বল দারুণভাবে তালুবন্দি করেন বিজয়। নিসাঙ্কা থামেন ১৫৮ রানে। ১৯টি চারের মারে ২৫৪ বলে এই রান করেন নিসাঙ্কা। ক্রিজে জয়সুরিয়ার সঙ্গী ধনাঞ্জয়া।
তিনশ ছাড়ালো শ্রীলঙ্কা
তিনশ থেকে ১০ রান দূরে থেকে দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতেই তিনশ চাড়িয়ে যেতে বেগ পেতে হয়নি। ৮১.৫ ওভারে লঙ্কানরা তিনশ স্পর্শ করে। তার আগে দেড়শ পার হয় নিসাঙ্কার ব্যক্তিগত রান। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন জয়সুরিয়া।
চাপে থেকে বাংলাদেশের দিন শুরু
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। চালকের আসনে থেকে দিন শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। নিসাঙ্কা ১৪৬ ও জয়সুরিয়া ৫ রানে দিন শুরু করেন। সময় যত গড়াচ্ছে বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাড়ছে শ্রীলঙ্কার লিড।
বাংলাদেশের বাজে দিন
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের একমাত্র স্বস্তি হতে পারে ৯৩ রানে চান্দিমালকে ফেরানো। এ ছাড়া বলার মতো কোনো পারফর্ম্যান্সই দেখাতে পারেননি বোলাররা। দিন শেষে বাংলাদেশের সামলে লিড ৪৩। প্রতিপক্ষের পড়েছে মাত্র ২ উইকেট। নিসাঙ্কা অপরাজিত আছেন ১৪৬ রানে। লঙ্কার রান ২ উইকেটে ১৯০। একটি করে উইকেট নেন তাইজুল-নাঈম।