চলতি সপ্তাহে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় ১৬ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘন্টায় আকস্মিক বন্যা এবং ছাদ ধসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে আটজন শিশু।
দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যায় ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বুধবার থেকে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন শিশু, যারা ভারী বৃষ্টিপাতের সময় দেয়াল এবং ছাদ ধসে মারা গেছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, কমপক্ষে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেশি থাকবে।
গত মাসে দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে তীব্র ঝড়ে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হন। বসন্তকালে তীব্র শিলাবৃষ্টিসহ বেশ কয়েকটি চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটে দেশটিতে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি এবং এর ২৪ কোটি বাসিন্দা ক্রমবর্ধমান হারে চরম আবহাওয়ার ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে।