মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে স্কুলছাত্র সাহেদ আহম্মেদ সিয়ামকে (১৪)। অনেকটা পথ অতিক্রম করার পর অপহরণকারীদের একজন গাড়ি থেকে নামেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় দেয় সিয়াম। আশ্রয় নেয় একটি বাড়িতে।
বাড়িটির লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করেন সিয়ামের চাচার সঙ্গে। তিনি বিষয়টি জানান পুলিশকে। রবিবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের আমতলা বাজার এলাকার ওই বাড়িটি থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিয়াম অপহরণের শিকার হন।
সিয়াম মাগুরার মহম্মদপুর থানার কাওড়া গ্রামের সাইফুদ্দিন শামিমের ছেলে। সে বিনোদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
ভুক্তভোগী সিয়াম ও তার চাচা শায়েখউদ্দিন সোহান জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নাম না জানা ব্যক্তিরা সিয়ামকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অনেকটা পথ যাওয়ার পর সিয়ামকে গাড়িতে রেখে অপহরণকারীদের একজন প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় সিয়াম কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়াতে শুরু করে।
অপহরণকারীরা ধরার চেষ্টা করলে সিয়াম ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ সদরের আমতলা বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িরটির লোকজন সিয়ামের কাছ থেকে তার চাচার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন।
ছেলের অবস্থান জানতে পেরে সিয়ামের পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম সিয়ামকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ভুক্তভোগী সিয়ামের বাবা সাইফুদ্দিন শামিম বলেন, “এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করব। তাদের ঘটনার সব তথ্য জানানো হয়েছে।”
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সিয়ামকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাবা ও চাচার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।”