খেলাধুলা

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে পরিসংখ্যান

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যধকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

সীমিত পরিসরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে চোখ বুলনো যাক,

১০

দুই দল এখন পর্যন্ত ১০টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে। ২০০২ সালে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে দুই দল। সবশেষ ২০২৪ সালে। শ্রীলঙ্কা ছয়টি ও বাংলাদেশ দুটি সিরিজ জিতেছে। দুটি সিরিজ ড্র হয়েছে।

৫৭  

মুখোমুখি ৫৭ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ৪৩ ম্যাচে। বাংলাদেশের ১২ ম্যাচে। ২ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি।

৩৫৭/৯

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৮ সালে লাহোরে এশিয়া কাপের ম্যাচে ৯ উইকেটে ৩৫৭ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৪।

৭৬

সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজেদের কাছে রাখতে না পারলেও সর্বনিম্ন রানের তালিকায় উপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ২০০২ সালে কলম্বোর এসএসসি স্টেডিয়ামে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান ১২৪।

১৯৮

রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে পোস্ট অব স্পেনে বাংলাদেশকে ১৯৮ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে ৩১১ রানের টার্গেট দিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ১৬৩।

১২০৭

দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিকুর রহিমের। ৩৯ ম্যাচে মুশফিকুর ১২০৭ রান করেছেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ৩১ ম্যাচে ১২০৬ রান করেছেন সাঙ্গাকারা।

১৬১*

এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৬১। তিলকারত্নে দিলশান ২০১৫ সালে মেলবোর্নে ১৬১ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান মুশফিকুরের। ২০১৮ এশিয়া কাপে ১৪৪ রান করেছিলেন মুশফিকুর।

কুমার সাঙ্গকারা দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।

বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ ৫টি ডাক মেরেছেন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে।

২৪৮

এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২৪৮ রান করার রেকর্ডটি নিজের দখরে রেখেছেন তিলকারত্নে দিলশান। ২০১৪ সালে ৩ ওয়ানডেতে ২৪৮ রান করেছিলেন দিলশান। ২টিই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

৩১

দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১ উইকেট পেয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।

২৫/৬

সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা চামিন্দা ভাস নিজের দখলে রেখেছেন। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাস। ওই ম্যাচেই ২৫ রানে ৬ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার।

দুই দলের মোট ৪ বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। দুশমন্থ চামিরা, চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরন ৫ উইকেট পেয়েছেন একবার করে। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।

৮৬ আব্দুর রাজ্জাক ২০০৭ সালে ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়েছিলেন নিজের বোলিং স্পেলে। যা এখনও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং স্পেল।

দুশমন্ত চামিরা ও সনাৎ জয়াসুরিয়া এক সিরিজে সর্বোচ্চ ৯টি করে উইকেট পেয়েছেন।

১৮

২৬ ম্যাচে ১৮ ক্যাচ নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।

২১৫

জুটিতে সর্বোচ্চ রান করেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপল থারাঙ্গা। ২০১০ সালে মাহেলা ও থারাঙ্গা বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে ২১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন।

৩৯

দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ থেকে শুরু করে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৩৯ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর।