চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে শুরু হওয়া সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
চট্টগ্রাম নগরীর এএসপি এবং পটিয়া সার্কেলের এএসপি ও ওসিকে প্রত্যাহারে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন সংগঠন দুইটির নেতারা।
বুধবার (২ জুলাই) এনসিপি চট্টগ্রামের সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ রাতে এতথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং এনসিপির নেতাকর্মীরা। ফলে এই সড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের কয়েক কিলোমিটার অংশ যানজট দেখা যায়। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। এসময় অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে, দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ডিআইজিকে নিজ কার্যালয় থেকে বাইরে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ডিআইজি না আসায় তারা ডিআইজি কার্যালয়ের সামনের জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিন ঘণ্টা পর ডিআইজি নিজ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্দোলনকারীরা জাকির হোসেন সড়ক থেকে সরে যান। পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা সরে যান।
এনসিপি চট্টগ্রামের সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, “আমরা পটিয়া থানার ওসিসহ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। ডিআইজি মহোদয় আমাদের দাবি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে নামব।” চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিচ্ছি।”