গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার মামলায় দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুরের র্যাব-১৩ এবং সাভারের র্যাব-৪ ক্যাম্পের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত টিম।
বুধবার (২ জুলাই) র্যাব-১৩ এর সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাভারের র্যাব-৪ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কয়েকটি বাড়ি থেকে সাত্তার আলী, আখতারুল মিয়া, মোছা. মনি বেগম, মতলব আলী, লতিফুর বেগমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিমবাজার এলাকায়। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। তবে প্রধান আসামি লতিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গ্রেপ্তারদের সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিম বাজার গ্রামের বাসিন্দা লতিফ মিয়ার সঙ্গে ১১ বছর আগে পাশের গ্রামের জনতা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। নাছোরবান্দা স্বামী লতিফ মিয়া ঘটনার দিন ১০ জুন রাতে তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। স্ত্রী এতে রাজি না হওয়ায় ওই রাতে লতিফ মিয়া স্ত্রীকে তার বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পর দিন সকালে গ্রামবাসী রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহীদ মিয়া বাদী হয়ে গত ১১ জুন সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।