গর্ভাবস্থা এমনিতেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা। এই সময়ে মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য মাকে যেমন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, তেমনি বাড়ির সদস্যদেরও সহযোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এই সময়ে যদি চিকুনগুনিয়া হয় তাহলে এটা আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, কী করবেন না- এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নিন।
প্রফেসর ডা. নিয়াজ তাহেরা পারভীন, বিভাগীয় প্রধান স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ মার্কস মেডিকেল করেজ ও হাসপাতাল একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘গর্ভবতী মা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে সর্ব প্রথমে মানসিক শক্তিটা রাখতে হবে। এই সময় মায়ের সিমটোমেটিক চিকিৎসা দিতে হবে। এই সময় রেস্টে থাকতে দিতে হবে। এবং মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলজাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।’’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, শরবত, জুস খেতে হবে। এই সময়ে একশো দুই, তিন জ্বর হতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। এ সময় প্রেগনেন্সির জন্য সেভ প্যারাসিটামল চার ঘণ্টা বা ছয় ঘণ্টা পর পর দেওয়া যেতে পারে।’’
নিয়াজ তাহের পারভীনের পরামর্শ—
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে গর্ভবতী মাকে সাধারণ খাবার অল্প অল্প করে খেতে হবে। এ সময় প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে বা শরীরে র্যাশ দেখা দিতে পারে। যে সিমটোম দেখা দেবে সেই সিমটম অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া ঠিক আছে কি না—মাকে খেয়াল রাখতে হবে। যতোটা সম্ভব বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। যদি মনে করেন গর্ভের শিশুর নড়ানড়া কমে গেছে তাহলে আল্ট্রা করা লাগতে পারে।